জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা : বিনা ফিতে সাত লাখ মানুষকে সেবা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ বিনা ফিতে সাত লাখ ৩৬ হাজার ২৪৯ জনকে আইনি সেবা দিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বিচারপ্রার্থীদের ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ টাকা আদায় করে দিয়েছে। আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে সংস্থাটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনামূল্যে ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সাত লাখ ৩৬ হাজার ২৪৯ জনকে আইনি সেবা দিয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এই সময়ে সংস্থাটির মাধ্যমে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮১০ জনকে আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৩২ জনকে মামলায় আইনগত সহায়তা এবং ৫৬ হাজার ৮৭৪টি বিরোধ বা মামলা এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত বিচারপ্রার্থীদের ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ টাকা আদায় করে দিয়েছে। চলতি বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা’।
এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ (১৪, আব্দুল গনি রোড) থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (১৫, কলেজ রোড) পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভা হবে। এছাড়া সারা দেশের জেলা পর্যায়ে শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা, সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এ দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের বাণীসহ আইনগত সহায়তা বিষয়ক প্রতিবেদন সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রেডিও-টেলিভিশনে আইনগত সহায়তা দান সংক্রান্ত টকশো, মুক্ত আলোচনা, সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে।
দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দানের লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।
এ আইনের আওতায় সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।