জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছেন তিন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান
জাতীয় পরিবেশ পদকে তিন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য ও অনুসরণীয় অবদান রাখায় তারা এই পদক পাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মো. আব্দুস ছামাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম মাহবুব হাসানসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে মনোনীত করা হয়েছে। পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর তুহিন ওয়াদুদ (ডক্টর আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান) এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে খুলনার বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাতক্ষীরার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ডক্টর এস এম মফিজুল ইসলাম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হবে।