জাদুমন্ত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই উন্নয়নের চাকা চলমান রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ কোনো জাদুমন্ত্র দিয়ে হয়নি, এটা ম্যাজিক না। এটার পেছনে কাজ করতে হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনাকারীরা শুধু সমালোচনা করতে পারে। সমালোচনাকে ঊর্ধ্বে রেখে সঠিকভাবে কাজ করলে এর সফলতা আসবেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য বসে না থেকে গত মে মাস থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি।’
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে পৌরসভার উন্নয়নকল্পে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে আলোচানা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেশ বিশ্বের ছয় নম্বরে রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। আমাদের দেশে সুস্থতার হার ৯০ ভাগ। দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। যারা অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে গেছেন বা উঠছেন। এখন সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মাত্র এক হাজার ৩০০ করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। তারপরও ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবেই আমরা দেশে করোনাভাইরাস আরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
পৌর মেয়র রমজান আলীর সভাপতিত্বে কর্মপরিকল্পনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস উল হাসান মারুফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈনু উদ্দিন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রশিদ মৃধা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘একটি পৌরসভা হচ্ছে জেলা শহরের ড্রয়িং রুম। এই ড্রয়িং রুম সাজানো গোছানো না থাকলে জেলার উন্নয়ন দৃশ্যমান হয় না। মানিকগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করতে হলে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। আগামীতে যত উন্নয়ন হবে তা মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী হবে।’
আগামীতে পৌর এলাকায় একটি মিনি স্টেডিয়াম, শিশুপার্ক, শহরের খাল সৌন্দর্যবর্ধণ প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য পৌর মেয়রকে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।