জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা শহরে নৈরাজ্য চালানোর অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এই আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী শাকিল আহম্মেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তারা আত্মসমর্পন করলে বিচারক জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।’
আইনজীবী রিপন বলেন, ‘গত ১২ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট মির্জা ফখরুল, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত মামলাটি তেজগাঁও থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন। পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
আরজিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায় কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। নওমীকে তিনি বলছেন, ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
অপরদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পরে। ছাত্রদলের কর্মীদের দিয়ে উত্তরায় এনা পরিবহনের দুই বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করে কর্মীদের আহত করে।