জিসিআরজি-তে যোগদানে জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে তাঁকে খাদ্য, শক্তি ও অর্থবিষয়ক গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে (জিসিআরজি) যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সচিবের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দুই নেতার মধ্যে ১২ মিনিট ধরে চলা আলোচনার সময় তিনি (শেখ হাসিনা) জিসিআরজিতে যোগদানের আমন্ত্রণ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।’
আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার তাঁর জিসিআরজি’র প্রাথমিক সুপারিশমালা প্রকাশ করেছেন, যা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে ক্ষুধা সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের সূর্যমুখী তেল সরবরাহ করে অর্ধেকেরও বেশি এবং দুদেশ বিশ্বের গমের প্রায় ৩০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গম সরবরাহের অর্ধেকেরও বেশি ইউক্রেন একাই সরবরাহ করে।
যুদ্ধের ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়েছে এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি-শুধু খাদ্য নয়, জ্বালানি ও সারের ক্ষেত্রেও ও অব্যাহত রয়েছে।
একই প্ল্যাটফর্মে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া এবং সেনেগালের প্রেসিডেন্ট, বার্বাডোস এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অন্য নেতাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহী উল্লেখ করে এ গ্রুপটির লক্ষ্য পূরণে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
গ্রুপটির উদ্দেশ্য পূরণে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির পর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য, জ্বালানি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থা খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জাতিসংঘের মহাসচিবকে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অবদান রাখতে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন, জলবায়ু ইস্যু এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থায়ন বিষয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স’ গ্রুপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে একজন ‘শেরপা’ (প্রতিনিধি) মনোনীত করার অনুরোধ করেন।