‘জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ ও আইন বহির্ভূত’ বলছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আজ বৃহস্পতিবার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কুদ্দুস কাজল এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ রাগীব রউফ চৌধুরী, সদস্য মার-ই-আম খন্দকার, মোহাম্মদ মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম (টুটুল), মোহাম্মদ মহসিন কবির, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (রতন)। সম্পাদকসহ উপস্থিত সবাই বিএনপির সমর্থক।
জামুকার সভায় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একজন মহান বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তটি খুবই উদ্বেগের এবং দুঃখজনক। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ পরিকল্পনা, যুদ্ধ কৌশল, যুদ্ধ পরিচালনা ও তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং নিজের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেয়-প্রতিপন্ন করা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের চেতনা পরিপন্থি এবং জাতির কলঙ্কস্বরূপ। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন বহির্ভুতভাবে এ অবৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত বাতিল করবে বলেও প্রত্যাশা করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সেই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হয়েছে।
তবে গতকাল গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘খবরটা অনেকেই হয়তো ঠিকমতো পরিবেশন করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর চার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় সনদ বা সম্মাননা সেটা বাতিল করা হয়েছে। আরো চারজনের নাম এসেছে দালিলিক প্রমাণসহ। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী রয়েছেন। সেজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, আগামী সভায় এ বিষয়ে কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে সেটা দাখিল করার জন্য। এবং তাহলে তাদের সম্মাননা বাতিল করা হবে।’
এদিন মন্ত্রী আরো বলেন, ‘কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, মুখে বললে তো হবে না। দালিলিক প্রমাণ যদি থেকে থাকে সেগুলো আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।’