জিয়াউর রহমানের খেতাব : সারা দেশে ফের বিএনপির বিক্ষোভ
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আগামী বুধবার সারা দেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের এই কর্মসূচি পালিত হবে।
আজ রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারা দেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবে দলের নেতাকর্মীরা।
তবে বুধবারের কর্মসূচি থেকে বাদ যাবে বরিশাল বিভাগ। কারণ, পরের দিন বৃহস্পতিবার বরিশালে দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সদরে আয়োজিত সমাবেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ধাপে ধাপে কর্মসূচি দেওয়া হবে- উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকার পতনের আন্দোলন আমাদের চলমান আছে। বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করতে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার বরিশালে আমাদের যে সমাবেশ এটাও তো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে আন্দোলনকে আমরা আমাদের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চাই।’
ড. খন্দকার মোশাররফ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘টিকার ক্ষেত্রে একটি সোর্সের ওপর, একটি সাপ্লাইয়ের ওপর আমাদের নির্ভর করা সমীচীন হচ্ছে না। কোনো দেশই একটি সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এই ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা নেয়নি। তারা একাধিক সূত্র থেকে ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আমরা এখনও বলছি যে, আমাদের বিকল্প সোর্স যদি খোঁজা না হয় তাহলে কিন্তু কিছুদিন পরে আমাদের যে পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হবে, সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে না।’
বিএনপি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই তো সাক্ষী গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে- এই ঝগড়াটা কে লাগিয়েছে? বিএনপি নাকি সরকারের পুলিশ? তো, এখন তারা আক্রমণ করে বলে যদি আমরা ঝগড়া লাগাচ্ছি- এটার জন্য আমাদেরকে প্রশ্ন না করে বরঞ্চ তারা যখন প্রশ্ন করে তাদের বলা উচিত যে, আপনি এই কথা বলতেছেন কিন্তু আপনাদের লোকরাই তো ঝগড়া লাগাইতেছে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘একজন মন্ত্রী, একটা পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আল-জাজিরার মতো একটা সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে কিছু জানেন না এটা বিশ্বাস করা কঠিন। কাতারের শাসকগোষ্ঠীর মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমকে বিএনপি প্রভাবিত করতেছে- এ রকম কথা যে বলে তাঁর প্রশ্নের কোনো জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এই ভার্চুয়াল সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।