জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের সশ্রম কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দুর্নীতি মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- নড়াইল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, আহম্মদ আলী খান, তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, রাধে কুণ্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু, জিল্লুর রহমান, এইচএম সোহেল রানা, পৌরসভার তৎকালীন সচিব শফিকুল আলম ও সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এজাজুল হাসান, জিল্লুর রহমান ও রকিবুল হাসান বাদে সবাই কারাগারে আছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বাস ভঙ্গ করে আসামীরা বাংলা ২০০৫ সালে হাট বাজার ইজারা দেন। তাঁরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে সাত লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা ও ২০০৪ সালে একই হাট চার লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করেন। মোট ১২ লাখ ২ হাজার ২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আত্মসাতের ১২ লাখ ২ হাজার ২৮০ টাকার মধ্যে আসামি জিল্লুর রহমান এক লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা তিন লাখ ৫২ হাজার ১২০ টাকা, রাধেকুণ্ডু তিন লাখ ৫০ হাজার, রকিবুল ইসলাম এক লাখ ৮৫ হাজার এবং ইজাজুল হাসানকে এক লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা পরিশোধ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।