জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৭ চেয়ারম্যান
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৭ জন প্রার্থী। আজ রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এদিকে, চেয়ারম্যান ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ রোববার ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান আরজু এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৬২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ১৪২ জন। সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন এক হাজার ৭৪৪ জন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৭১৫ জন। এর মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৬৭৫ জন।
এরপর আপিল নিষ্পত্তি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকল ৯০ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৫০৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬২০ জন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জেলায় ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তফসিল অনুযায়ী ৬১ (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
যেসব জেলায় পরিষদ বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পাচ্ছে
জামালপুর, ঢাকা, নোয়াখালী, পাবনা, পিরোজপুর, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলার পরিষদ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
যারা ভোট দেবেন
আগের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন। কিন্তু, সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান।
আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, তবে দুইজনের কম নয়। অর্থাৎ, একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।