ঝালকাঠিতে করোনায় সেবিকাসহ তিনজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৮
ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ সেবিকা কোহিনূর বেগমসহ (৫৬) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কোহিনূরকে গতকাল শনিবার রাতে শহরের গুরুধাম এলাকার বাসা থেকে গুরুতর অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিসিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে জেলায় ‘কঠোর লকডাউন’ অমান্য করায় ৯২ জনকে ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃতের স্বামী আব্দুল হান্নান হাওলাদার জানান, কয়েকদিন ধরে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন কোহিনূর বেগম। গত শুক্রবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে শনিবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরে মৃত্যু হয়। আজ সকালে আসা রিপোর্টে তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।
সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে কোহিনূর বেগম বিভিন্ন সময় রোগীদের সেবা দিয়েছেন। এখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হতে পারেন বলে পরিবারের সদস্যরা ধারণা। এ ছাড়াও জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজাপুর উপজেলার সুক্তাগর এলাকার শাহ আলম হাওলাদার (৬৫) ও চারাখালী গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক সাইদুর রহমান (৫৯)।
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জেলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কোহিনূর বেগম, একজন শিক্ষকসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৯। মোট আক্রান্ত এক হাজার ৯৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫২ শতাংশ।
এদিকে ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। সরকারি নির্দেশনা মেনেই চলছে কঠোর লকডাউন। তবু অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউন বাস্তবায়নে আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের ১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। লকডাউন ও বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৯২ জনকে মোট ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। অকারণে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।