ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী ছয় ইউনিয়নে কঠোর বিধিনিষেধ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের জনসাধারনের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। সেইসঙ্গে জনসাধারণকে রাতে ঘর থেকে বের না হতে বলা হয়েছে। ওই এলাকায় মধ্যে গণপরিবহণ চলাচল করতে পারবে না।
উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাউলি গ্রামে সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমেছে।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এ খবর নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তবর্তী স্বরূপপুর, নেপা, কাজীরবেড়, শ্যামকুড়, বাঁশবাড়িয়া ও যাদবপুর ইউনিয়নে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ‘যেকোনো সময় নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলেনি এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এদিকে, ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের আসা থামছে না। প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ দালালের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঢুকে পড়ছে।
মহেশপুর ব্যাটালিয়ান (৫৮ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পোনে ৯টার দিকে দুজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর থানার আমলাপাড়া গ্রামের মীম আক্তার (২০) ও খুলনার দীঘলীয়া থানার হাটমহিশাদিয়া গ্রামের রহিমা খাতুন ( ২২)। এ সময় আটক করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার হাসাদাহ গ্রামের মোমিন (৪৫) নামের আরও একজনকে।
অতি সম্প্রতি মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার কারণে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যদের হাতে প্রতিদিন ধরা পড়ছে তারা। বিনা পাসপোর্টে ভারত থেকে দেশে আসার অপরাধে আটক করে মামলা করা হচ্ছে ওই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাউলি গ্রামে একই বাড়িতে পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।