ঝিনাইদহে চা দোকানি খুন, আহত যুবলীগকর্মীর মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শৈলকুপায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন যুবলীগকর্মী স্বপন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে চা দোকানি ইমামুল হক ইমার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলা শহরের কুলতরা বাজারে চা বিক্রি করতেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাদপুর-মহেশপুর সার্কেল) মোহাই মিনুল ইসলাম জানান, বাজারে নিজ চায়ের দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন নিহত ইমা। রাত অনুমান ১২টার দিকে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। আজ সকালে ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, কয়েক দিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় নিহত ইমার। ধারণা করা হচ্ছে তার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও নাম জানাতে অস্বীকার করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত সংলগ্ন মহেশপুর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা বলছে, দিনে দিনে খুনসহ নানা আপরাধের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ইতোমধ্যে দুজন ডাক্তার মারধরের শিকার হয়েছেন।
অপর দিকে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় রাব্বি ও স্বপন নামের দুজন আহত হন। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন। মৃত্যু ঘটনার পরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।