ঝিনাইদহে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি
ঝিনাইহে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৭ মে) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ‘রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই আমাদের দুর্নীতিকে না বলতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারি পরিষেবা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
দুদক কমিশনার আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই আমাদের দুর্নীতিকে না বলতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সেটি সম্ভব না। সরকারি দপ্তরগুলোর ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জোরালো অভিযান পরিচালনা এবং জনমত গঠন করে যাচ্ছি।’
গণশুনানিতে আরও বক্তব্য দেন দুদকের মহাপরিচালক (অনুসন্ধান) অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, দুদক খুলনার পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনেয়ার সাঈদ প্রমুখ।
গণশুনানিতে বিআরটিএ, নির্বাচন অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ, পাসপোর্ট, হাসপাতাল, ভূমি অফিস, বিএডিসি, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিবেশ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসসহ ঝিনাইদহের ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১১৩টি অভিযোগ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২২টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেছে।
উপস্থাপিত ২২টি অভিযোগের মধ্যে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগের বিষয়ে যাচাই করে অনুসন্ধান চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিআরটিএ অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেটেলমেন্ট অফিস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রভৃতি অফিসের বিরুদ্ধে আনীত ২০টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়।