ঝিনাইদহে যুবলীগনেতা হত্যায় আটজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর যুবলীগনেতা মো. জাকির হোসেন মণ্ডল ওরফে শান্তি মণ্ডল হত্যা মামলা রায়ে আট আসামির যাবজ্জীবন (৩০ বছর) আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া দিয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শান্তি হোসেন, আব্দুল করিম, লাভলু, আবু জাহিদ মনি, মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, ইব্রাহীম খলিল ওরফে ইদু, মুকুল নাসির। এদের মধ্যে শান্তি হোসেন ও ইব্রাহীম খলিল ইদু পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান নাসির মালিথা।
আদালত সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন মণ্ডল ওরফে শান্তি মণ্ডলকে ২০১০ সালের ৭ জুলাই রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর মো. সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ এ মামলায় ১১ জন আসামি বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে তিনজন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, মামলার আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে মশিয়ার রহমান ও উজ্জ্বল হোসেন নামের দুই আসামির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে তাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিস্ফোরক আইনে আরও সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। অর্থাৎ দণ্ডিত ব্যক্তিরা সর্ব মোট ৩৭ বছর কারাভোগ করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডাভোকেট মো. ইসমাইল হোসেন বাদশা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম জোয়ারদার ও মো. দবির হোসেন।