টিকা নিয়ে মানুষের সংশয় কেটে যেতে শুরু করেছে : বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। প্রথম টিকাটি নিয়েছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
টিকা নেওয়ার পর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘টিকা নেওয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে, সাহস পাবে। এখানে আজ অনেক লোক জড়ো হয়েছেন। গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত মানুষের মনে সংশয় ছিল টিকা নেবেন কি না। সংশয় কেটে যেতে শুরু করেছে। আমরা এটাই চাই।’
টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সুসজ্জিত ভবনে করোনার টিকাদান কেন্দ্রে চারটি বুথ সাজানো হয়েছে। টিকাদানের জন্য কয়েকটি শয্যাও বসানো হয়েছে। টিকাদান নিবন্ধনের জন্য বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-মৈত্রী জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। দেশে প্রথম করোনার টিকা নেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের সেবিকা রুনু বেরুনিকা কস্তা।
এ ছাড়া গতকাল টিকা নিয়েছেন চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গতকাল বিভিন্ন পেশার মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।