টিকা বিক্রিতে স্বাস্থ্যের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা : ডিজি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা বিক্রিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি এ কথা বলেন।
রাজধানীর দক্ষিণখানের পল্লিচিকিৎসক বিজয়কৃষ্ণ তালুকদারকে টাকার বিনিময়ে টিকা বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ওই টিকা চিকিৎসক কোথায় পেয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিকরা আজ বিষয়টি জানতে চান।
আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘টিকা চুরি বা বিক্রি করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দেশের যে দু-একটি জায়গায় টিকা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে তদন্ত চলছে। আর আমাদের এখানে যে টিকা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, তা কোথা থেকে এলো তদন্ত করা হবে। এ টিকা বিক্রির ঘটনার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বুধবার অবৈধভাবে করোনাভাইরাসের টিকা সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে বিজয়কৃষ্ণ তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
বিজয়কৃষ্ণ তালুকদার দাবি করেছেন, তিনি একজন পল্লিচিকিৎসক। দক্ষিণখানের হাজীপাড়ায় ‘দরিদ্র পরিবার সেবা’ নামের একটি ক্লিনিকের মালিকও তিনি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিজিয়া খাতুন এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, অভিযানে ক্লিনিক থেকে ২২টি মডার্নার টিকার খালি বাক্স ও একটি টিকা এবং চিকিৎসকের বাসার ফ্রিজ থেকে আরও একটি মডার্নার টিকা উদ্ধার করা হয়েছে। বিজয়কৃষ্ণ তালুকদার টাকার বিনিময়ে ২২ জনকে করোনার টিকা দিয়েছেন। এটা অবৈধ কাজ। এই টিকা তার পাওয়ার কথা ছিল না। উত্তরার একটি এনজিও থেকে এ টিকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিজয়কৃষ্ণ তালুকদার। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।