ডাকাতি মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন
গোপালগঞ্জ শহরে ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির মামলায় সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইটভাটার মালিক ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল্লাহ পাভেলের বাসায় আসামিরা দরজা খোলার জন্য কৌশলে ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে দরজা খোলা হলে তারা ভেতরে ঢুকে বাসার সদস্যদের কুপিয়ে আহত করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে দেড় লাখ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণ ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে ডাকাত শাওন শরীফ ও ইমন খানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ বাকি আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল্লাহ পাভেল বাদী হয়ে ২৯ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাওন শরীফ (২২), সোহাগ শরীফ (২৭), আশিক শেখ (২৬), রাজু মিয়া (২৬), আনিস শেখ (৩৫), ইমন খান (২৪) ও মো. সজীব কাজী (২৫)। এদের সবার বাড়ি গোপালগঞ্জ ও কাশিয়ানী উপজেলায়।
এর মধ্যে ইমন খান, আশিক শেখ ও মো. সজীব কাজী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে শাওন শরীফ ও ইমন খানকে ৪১২ ধারায় আরো অতিরিক্ত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান খান পিটু এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. সিদ্দিকুজ্জামান খাকী।