ডা. জাফরুল্লাহসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জহিরুল হক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে প্রসূতি নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, মামলার অন্য আসামিরা হলেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন ও সেবিকা শংকরী রানী সরকার।
আরজিতে বলা হয়েছে, বাদী এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তাঁরা সেবা পাননি। ভিকটিম নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে স্বামী সবুজ বারবার সেবিকা শংকরী রানীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রানীকে চিকিৎসক ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রানী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নূপুরকে ডেকে আনেন। তাঁরা দুজন এসে জানান, সব কিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রানী তাঁদের জানান, ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো চিকিৎসক আসেননি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তাঁরা তা করেননি। শংকরী রানী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রোগী নাসরিন মারা যান।
আরজিতে বলা হয়েছে, রোগীর মৃত্যুর পেছনে কিছু অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয়নি। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন।
মামলার ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।