ডা. সাবরীনার মামলায় সাক্ষী কেন আসেনি, ওসিকে শোকজ
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষী হাজির না করতে পারায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আজাদ রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
আইনজীবী বলেন, আজ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তিন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। এর মধ্যে মশিউর রহমান নামের এক সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। অপর দুই সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। তাদের বাড়ির ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ। নিয়ম অনুযায়ী, সাক্ষীকে হাজির করার জন্য আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব থাকে থানার ওসির ওপর।
তাই দুই সাক্ষীকে হাজির করতে না পারায় আদালত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে কারণ দর্শাতে বলেছেন বলে জানান আইনজীবী। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তীতে তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
গত বছরের ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার হন তাঁর সহযোগী সাঈদ চৌধুরী।
এরপর একই বছরের ১২ জুলাই ডা. সাবরীনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
গত বছরের ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ডা. সাবরীনা, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর ছয় আসামি হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফুল হক চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।