ডা. সাবরীনা-আরিফের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন ১৪ জুন
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৪ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার আসামি আরিফের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী। এরপর আসামি সাবরিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এদিন সাবরিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বিচারক যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
আজ ডা. সাবরীনা-আরিফসহ সব আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট আলোচিত এই মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ওই বছরের ১৩ আগস্ট ডা. সাবরীনা, আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওই দিন আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ডা. সাবরীনা, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর ছয় আসামি হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফুল হক চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুপুরে ডা. সাবরীনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।