ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষী দুজন হলেন—জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মেহের সুলতানা এবং ব্যবস্থাপক নিজামুদ্দিন ভূইয়া। তাদের জেরা শেষে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৬ অক্টোবর ।
এর আগে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এই মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মিজান ছাড়া অভিযোগভুক্ত অপর আসামিরা হলেন—ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগনে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। পরের দিন ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অপরদিকে, গত বছরের ১৮ মার্চ অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান এবং দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে।