ডিএমপিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি, পুরস্কার পেলেন যারা
ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আজ রোববার (১৬ মে) ডিএমপি সদর দপ্তরে মার্চ ও এপ্রিলের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
গত এপ্রিলে রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদ পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির সব স্তরের অফিসার ও ফোর্সের ব্যস্ততার কারণে মার্চের অপরাধ পর্যালোচনা গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই মার্চ ও এপ্রিলের অপরাধ পর্যালোচনা সভা আজ অনুষ্ঠিত হলো।
এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আজিজুল হক। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন শেখ।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মামুন হোসেন ও বনানী থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন। বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ আলী শিকদার। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ওয়ারী থানার এসআই মো. সাজ্জাদ হোসেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন শাহআলী থানার এসআই তুহিন কাজী ও কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই পলাশ বিশ্বাস। ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মামুন হোসেন। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই আলী আকবর ও পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায়।
ডিএমপির ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার বার্নাড এরিক বিশ্বাস। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডারও নির্বাচিত হয়েছেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম হাসান সিদ্দিকী। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আহসান খান। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইয়াসিন আরাফাত।
আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযুষ কুমার দে। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের শাহবাগ-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর লুৎফুল আনাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের রামপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মফিজুর রহমান ও ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট পলাশ কুমার রায়।
মার্চের ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবেও প্রত্যোক বিভাগ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার শতাধিক কর্মকর্তা ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।