ডিজিটাল অ্যাক্ট একটা জুলুম, মুখ ও লেখা বন্ধের আইন : মান্না
যে লিখতে জানে ও কথা বলতে জানে, সরকার তাঁকেই ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমরা চুরির খবরটা জানি, বলতে পারি তাই সরকার আমাদেরও ভয় করে। তাই ভয় পেয়ে মোস্তাক আহমেদকেও জেলে ঢুকিয়েছিল।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি এক বিক্ষোভ সমাবেশে মান্না এসব কথা বলেন।
এ সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে জুলুম হিসেবে আখ্যায়িত করে মান্না বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কোনো জবাব নাই। এটা একটা জুলুম। এটি মানুষের কথা বন্ধ করা, মুখ বন্ধ করা ও লেখা বন্ধ করার আইন। আমরা ওই আইন মানি না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘জেল কর্তৃপক্ষ বলার চেষ্টা করছে, অসুস্থ মোস্তাককে আমরা নিয়ে এসেছি। আর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের ডাক্তার বলছেন, আমরা মৃত মোস্তাককে পেয়েছি। তাহলে মোস্তাক কখন, কোথায় মারা গিয়েছে? আল-জাজিরা খবর ছাপায় সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না, তথ্যমন্ত্রী জানেন না। তাহলে মোস্তাক যে কারাগারে মারা গেলেন সেটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে কেন আপনাদের চাকরি এখনও আছে? বলা হয়েছে, মোস্তাক হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন। অথচ তাঁর পরিবারের কেউই জানত না, তার আগে হার্টের সমস্যা ছিলো।’
অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা এখানে সমবেত হয়েছি মোস্তাক হত্যার বিচারের দাবিতে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নামে কালো আইন বাতিলের দাবিতে। ২৫ ফেব্রুয়ারি যেদিন মোস্তাক মারা গিয়েছে সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি জঘন্যতম দিন। এই ২৫ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাকে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আলম বেপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার রাখাল রাহা, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী প্রমুখ।