ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ হতে হবে : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও আইওটিসহ আগামীদিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিকল্প নেই। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হচ্ছে আগামী সভ্যতার উন্নয়নের বাহন। তিনি নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা সৃষ্টির আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি রোটারিয়ানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাতে ঢাকায় রোটারি ক্লাব অব আনন্দধারা, ঢাকার সপ্তম চাটার্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রোটারিয়ানদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রোটারিয়ানদের মানবসেবা কাজটিকে একটি মহৎ কাজ উল্লেখ করে বলেন, সেবাই হচ্ছে মানবতার ধর্ম। সেবা করার চেয়ে বেশি প্রশান্তি আর হতে পারে না। সেবার মাধ্যমে অসহায় মানুষের জীবন বদলে দেওয়া এখনকার পরিস্থিতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ একটি কাজ। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি ২০৭১ এবং ২১০০ সালের বাংলাদেশ কী হবে সেই ভিশন নিয়েও এগুচ্ছেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে না পারলে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমাদের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছি।
বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের জনক বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি মানুষের ডিজিটাল দক্ষতার প্রয়োজন হবে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ এবং ইউপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেলিকম দুনিয়ায় বাংলাদেশের সংযোগ স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ মহীরূহে রূপান্তর লাভ করেছে। তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্পবিপ্লব মিস করেও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
রোটারিয়ান তারেক বোখারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকি, টিআইএম নুরুল কবির, সাকিনা রহমান, এফ এম আলমগীর, রুবায়েত হোসেন, ফরিদ আলম নিউটন বক্তৃতা করেন।
বক্তারা আর্তমানবতার সেবায় রোটারিয়ানদের নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও কোভিড পরিস্থিতিতে রোটারিয়ানদের আরও জোরালো ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।