ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়ে বলেন, আজ বিচারক এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
পিপি আরও বলেন, এ দিন মাদানীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। তবে অপর আসামি মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত বছরের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের অন্য আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গত বছরের ৭ এপ্রিল ভোররাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব-১-এর সদস্যরা। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে গত বছরের ৮ এপ্রিল মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন র্যাব-১-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল খালেক। এ মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, আটককালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ ছাড়াও জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ‘অ্যাডাল্ট কনটেন্ট’ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে। এসব অ্যাডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এ মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৩ এপ্রিল সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিনে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন নাহার।
পরে ঢাকার মতিঝিল থানায় মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।