ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের জীবনধারা বদলে দিয়েছে : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্প-বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় রূপান্তর করে বাংলাদেশের প্রচলিত জীবনধারা বদলে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় বিস্ময়কর সফলতা দেখিয়েছে; যা অনেক উন্নত দেশও পারেনি। অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ঢাকাস্থ বৃহত্তর বগুড়া জেলা সমিতির ইফতার মাহফিলে আজ শুক্রবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী একথা বলেন। বৃহত্তর বগুড়া জেলা সমিতির সভাপতি কেএইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদারও বক্তব্য দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, খোদ আমেরিকায় মানুষ চিকিৎসা পায়নি-ওষুধ পায়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুচারু দক্ষতার সাথে করোনাকে মোকাবেলা করেছে। আমাদের জীবনযাপন বা অর্থনীতি কেবল সচল ছিল না, আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি অন্যদেরকে ছাড়িয়ে গেছে।
করোনাকালে জীবনযাত্রা সচল সজিব রাখার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের বুঝতে হবে করোনার আগের জীবনধারা এখন আর বিদ্যমান নেই। সামনের দিন এখনকার অবস্থায় বিরাজ করবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তর হবে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিকে রূপান্তর করবে মিশ্র বা ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি। এই ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি অনলাইনেও শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
মন্ত্রী এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ও বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে অনুন্নত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার উল্লেখ করে বলেন, আগামীদিনে মৎস্য ও কৃষিখাতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনে আইওটি যন্ত্রই কৃষককে বলে দিবে কখন তার জমিতে সার বা সেচ দিতে হবে এবং কী পরিমাণ লাগবে, সেটাও জানতে পারবে। মাছ চাষেও এই প্রযুক্তি আমূল রূপান্তর ঘটাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে দেশে এক হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব্যবহৃত হতো, করোনাকালে তা বেড়ে ৩৪শ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। দুই হাজার আট সালেও দেশে মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। বর্তমানে তা ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ইন্টারনেট মানুষের জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।