‘ডিজিটাল বাণিজ্যকে টেকসই করতে পেশাদারিত্ব অপরিহার্য’
ডিজিটাল বাণিজ্যকে টেকসই করার জন্য পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, সামনের দিনের বাণিজ্য হবে ডিজিটাল বাণিজ্য। করোনাকালে শাক-সবজি থেকে কোরবানির গরু কেনা-বেচা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই হয়েছে। করোনা পরবর্তী জীবনধারাতেও আমাদের বাণিজ্য ডিজিটাল হতেই থাকবে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় যারা ডিজিটাল বাণিজ্যে আছে, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (ই-ক্যাব) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান মন্ত্রী। সে লক্ষ্যে মন্ত্রী ই-ক্যাবকে সরকারি সহযোগিতা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় ই-ক্যাবের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল কমার্স নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নেতিবাচক কিছু দৃষ্টান্ত খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, যখন কোনো প্রযুক্তি আসে, তখন প্রতারণায় কেউ কেউ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু, প্রতারণা করে বেশিদূর এগোনো যায় না। যারা দুর্নীতি করছে, তারা টিকতে পারবে না। হাতেগোনা কয়েক জন প্রতারকের জন্য এ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রণীত সরকারি নীতমালা অনুসরণে ই-ক্যাব সদস্যদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল ও কমপ্লেন সেলের কার্যক্রম জোরদার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে ই-ক্যাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ই-ক্যাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোস্তাফা জব্বার।
প্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেডবডি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বেসিস-এর সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠায় সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে প্রচলিত বাণিজ্যকে ডিজিটাল বাণিজ্যে রূপান্তরের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা এগিয়ে নিতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।
২০২১ সালে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ এবং তৃতীয় সাবমেরিন কেব্ল সংযোগ স্থাপনে ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ডিসেম্বরেই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছি। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ এবং মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-৩ উৎক্ষেপণ বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ই-ক্যাবের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ই-ক্যাব সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল।