ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ জরুরি : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ অপরিহার্য। লাগসই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সরকার ও বেসিসকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার, ইন্ডাস্ট্রিজ, একাডেমিয়া এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকে উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে। বেসিসকে তার মানবসম্পদ নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার এক হোটেলে বেসিস কর্তৃক প্রকাশিত স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক মাসিক ম্যাগাজিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিস-এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, সারোয়ার আলম ও হাবিবুল্লাহ এন করিম এবং সাবেক মহাসচিব আতিক ই রাব্বানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বেসিস-এর সাবেক সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কোথায় যাবে, তা এখন কল্পনা করাও কঠিন।
মোস্তাফা জব্বার দেশের সফটওয়্যার শিল্প বিকাশে বেসিস-এর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা লড়াই করেছি। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লড়াইয়ের অগ্রসেনানী আমরাই। ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসিসকে আগামী দিনগুলোতেও আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে সফটওয়্যার ব্যবহার চর্চা করার ব্যাপারে সচেতন করার বিষয়টিও সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের মানুষ হিসেবে আমাদেরকেই করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিসিএস ও বেসিস-এর সাবেক এই সভাপতি।
মোস্তাফা জব্বার সফটওয়্যারকে মেধাসম্পদ উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পদ কপিরাইটের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা অপরিহার্য, এর প্যাটেন্টও করা যায়। তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ইউরোপ আমেরিকা নেতৃত্ব দিয়েছে। ডিজিটাল যুগে উদ্ভাবনের সূর্য এশিয়ায় উদিত হয়েছে।
তিনি এ বিষয়ে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার ২০১৮ সালের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সে বছর গোটা ইউরোপ ও আমেরিকার প্যাটেন্ট নিবন্ধনের জন্য ৩ হাজারটি আবেদন করা হয়। একই বছর এশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এককভাবেই ৫ হাজারটি আবেদন করে। তিনি মেধাসম্পদ চর্চা ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে মানবসম্পদ তৈরিতে সরকার ও বেসিস-এর সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।