ডিমের বাজার কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তি চায় এফবিসিসিআই
অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আজ সোমবার সকালে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজার ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, একদিনে ডিমের দাম তিন টাকা বেড়ে যাবে, সরকারি সংস্থার অভিযানের পর আবার দাম কমে যাবে, এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি ডিমের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদ্প্তরের অভিযানের পর দাম কমে যায়। এর মাধ্যমেই ডিমের বাজারে কারসাজি প্রমাণিত হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে সভাপতি বলেন, ডিমের বাজারে কারসাজিতে জড়িত কাউকে খুঁজে পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে অন্য কেউ এই সুযোগ না নিতে পারে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়লে দেশেও দাম বাড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশে তার প্রভাব পড়ে না। সামান্য কয়েকজনের জন্য পুরো ব্যবসায়ী মহলকে অসাধু হিসেবে বদনাম শুনতে হচ্ছে।
লোভের বশবর্তী হয়ে সুযোগ পেলেই তার অপব্যবহার করতে থাকলে সরকার তখন বাধ্য হয়ে আমদানি শুরু করবে। তখন স্থানীয় শিল্প বিপাকে পড়বে। তাই দোষীদের খুঁজে বের করা ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন সভাপতি। এসময় সরকারি সংস্থাগুলোকে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের মনোপলি ভাঙার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, ভোক্তা কণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ ব্রিডারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন বাজারের বহুমুখী সমিতির নেতৃবৃন্দ, আড়তদার ও ডিম সরবরাহকারী বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিনাত সুলতানা, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রমুখ।