ডেঙ্গুতে মৃত্যু, যাচাই-বাছাই করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তবে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি আরও যাচাই-বাচাই করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন বাংলাদেশে অকালীন বর্ষা শুরু হয়েছে। এই বর্ষকাল আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি দেখি, গতকাল পর্যন্ত নতুন ৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৯ জন ও ঢাকার বাহিরে ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি হাসাপাতালে এ পর্যন্ত ৪০২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯৪ জন।
ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এই পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে আইইডিসিআর। তবে সেই মৃত্যু আসলে ডেঙ্গু কিনা, তা আমরা আরও বিস্তারিতভাবে যাচাই-বাচাই করে এরপর স্বীকিৃত দিব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু করণীয় রয়েছে। বাসাবাড়িতে রাখা ফুলের টব বা অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পানি তিন দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে। যারা বাসা ছেড়ে তিন দিনের বেশি সময়ের জন্য বাইরে যাচ্ছেন, কমোডের প্যান ঢেকে রাখতে হবে, পানির যেকোনো পাত্র পানিশূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উত্তম। মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে ছোট-বড় সবার শরীর ঢেকে রাখা যায় এমন কাপড় পরিধান করা উচিত।
ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা করোনা মহামারির মধ্যে রয়েছি। এই সময় জ্বর হওয়া মানেই যে সেটি করোনা হয়েছে বিষয়টি তা নয়। ডেঙ্গুর সন্দেহের বিষয়টিও ভাবতে হবে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।