ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কাজ করছি : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে অনেক দেশের থেকে আমাদের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো হলেও আমরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
আজ রোববার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত দেশের মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিন এ খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় আগামী বর্ষায় মশক নিধনে সিটি করপোরেশনগুলোর গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও সভায় বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং আগামী বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জানান, গত দুই মাসে সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৬২ জন, মালয়েশিয়ায় ১৭,৩৮৮ জন, শ্রীলঙ্কায় ১৪,৯৮৯ জন আর বাংলাদেশে গত তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭৫ জন।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ২০২৩ সালের ডেঙ্গু রোগীর সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপনা করেন এবং আগামী বর্ষায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ পর্যালোচনার পর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনগুলোর প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৫টি খাল পানি প্রবাহের উপযুক্ত করতে খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকার জলবদ্ধতা নিরসনে জানান, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ঢাকার আশেপাশের খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার ফলে অবৈধ দখল মুক্ত করে পানি প্রবাহের পথ সুগম হওয়ায় আধা ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহরের অধিকাংশ স্থানের জলাবদ্ধতা এ বছর দূর হবে।