ডেপুটি স্পিকারের সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা
প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সংসদীয় আসন গাইবান্ধা-৫ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার জাতীয় সংসদ সচিবালয় লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন প্রণয়ন শাখা-২ এর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের কথা সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। তবে কোনো কারণে তা করা না গেলে সময় বাড়ানোর সুযোগ আছে।
গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ২টার দিকে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
আগামীকাল সোমবার (২৫ জুলাই) ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রথম জানাজা হবে জাতীয় ঈদগাহে। সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে শ্রদ্ধার জন্য মরদেহ ঈদগাহ প্রাঙ্গণে রাখা হবে। করোনার কারণে ডেপুটি স্পিকারের জানাজা জাতীয় সংসদ ভবন প্লাজায় হচ্ছে না।
ডেপুটি স্পিকারের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোমবার দেশে আসছে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পৌঁছাবে।
জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে দুপুরে হেলিকপ্টারে ফজলে রাব্বীর মরদেহ দেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধার সাঘাটায়। ওইদিন বিকেল ৩টায় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে গটিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানে আরেকটি জানাজা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জার রহমান এবং মায়ের নাম হামিদুন নেছা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।