ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনের ৬ মাসের জামিন
দুর্নীতির মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে হারুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেন, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে গত ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন। পরে গত ২৯ জুন ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন হারুন-অর-রশিদ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।
গত ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু, একই মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাঁর সাজা কমিয়ে দেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করেছিল দুদক। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে আদালত আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন।