ঢাকার ৫ হাসপাতালে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু
ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নভেল করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনার টিকা নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এর আগে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। পরে আরো কয়েকজনকে টিকা দেওয়া হয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
টিকাদান উদ্বোধনের পর ঢাকার যে পাঁচটি হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হবে সেগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এবং করোনা টিকা কর্মসূচির মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ ঢাকার পাঁচ হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার কথা আছে। এরপর সাত দিন বিরতি দেওয়া হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে। সেটাই মূল কর্মসূচি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, এটা ধরে নিয়েই টিকা দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় ইম্যুনাইজেশন কর্মসূচির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ আছে। করোনা টিকার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। যেসব হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে, সেখানে মেডিকেল টিম থাকবে। ওই টিমে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন।
করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd)।
এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হতে যাওয়া টিকা কর্মসূচিতে ৪২ হাজার কর্মী কাজ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ হাজার টিকা দেবেন। বাকিরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির। আর যেসব হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হবে, তাদের জনবলও এই কর্মসূচিতে যুক্ত থাকছে।
বাংলাদেশে যেহেতু করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।