ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহাবস্থানে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এসময় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, কারো সাথে কোনো সংঘর্ষ নয়, আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান হোক। কার কি দোষ সেটা তদন্ত করলেই বের হবে। তার আগে সংঘর্ষ বন্ধ করাটাই জরুরি। এসময় তিনি সবাইকে গুজব থেকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এসে ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, আমরা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। তবে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে, এর নিশ্চয়তা চেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাত থেকে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রাতেই চিকিৎসাধীন এসব শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এসময় তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সর্বদা তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তাঁরা।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা কলেজে আসেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। কলেজের ভেতরে পুকুর ঘাটে গাড়ি থেকে নামার পরই তাকে ঘিরে ধরেন ছাত্রলীগকর্মীরা। লেখকের সামনেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন নেতাকর্মীরা। তাঁরা বলেন, আজ ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে আমাদের এমনটা হত না।
এসময় জবাবে লেখক বলেন, ‘কমিটি দিলেতো রাখতে পার না। কমিটি থাকলে আজকে যে দুই জন দায়িত্বে থাকত, তাদেরতো বহিষ্কার করতে হতো।
এরপর লেখক মোবাইলে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ার জন্যও লেখকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের দাবি, কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে ব্যবসায়ীরা এত সাহস পেতো না।