ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলমা চৌধুরী (মেঘলা) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় থেকে গতকাল মঙ্গলবার আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এ সময় তাঁর হাত, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এর পর গতকাল বিকেল ৪টায় গুরুতর আহত অবস্থায় মেঘলাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎষক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেঘলার পরিবার ও সহপাঠীদের অভিযোগ—স্বামীর অত্যাচারে তিনি মারা গেছেন। সহপাঠী আশিকুর রহমান জানান, গত লকডাউনের সময় মেঘলার বিয়ে হয়। এরপর তিনি আর ক্যাম্পাসে আসেননি। কয়েকদিন আগে তিনি পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে একজন গৃহকর্মী পাঠানো হয়। ক্যাম্পাসে পুরো সময় স্বামীর সঙ্গে তাঁকে ভিডিও কলে থাকতে দেখা গেছে।
মেঘলার আরেক সহপাঠী নুসরাত তিথি বলেন, তাদের (স্বামী-স্ত্রী) ঝামেলা চলছিল৷ করোনার মধ্যে বিয়ে হওয়ার পর সে ক্যাম্পাসে আসেনি। একদিন ফরম ফিলআপ করতে এসেছিল। সেদিনও তাকে ভিডিও কলে থাকতে হয়েছে। মেঘলাকে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ করেন সহপাঠী নুসরাত তিথি।
মেঘলার মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হইনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মেয়েটির লাশ মেডিকেলে রয়েছে। আমরা যোগাযোগ রাখছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’