ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানানোর অভিযোগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এখন তার একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।
পরে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ আপিল বিভাগ আজ বহাল রেখেছেন। এই আদেশের ফলে ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই।’
গত বছরের ৮ জুন বঅধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
গত ২০ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।