তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : জয়নুল আবেদীন ফারুক
সরকারের উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতই কৌশল করুক, তারেক রহমানের কৌশলের কাছে পরাজিত হবে। ২০১৮ সালের মতো দিন আর নেই। তারা এখন দেশের মিডিয়াকে ধ্বংস করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘জীবন দেব, জেলে যাব, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে জয়নুল আবেদীন ফারুক এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপির পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের মিডিয়াকে ধ্বংস করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। প্রথম আলোর রিপোর্টারকে গ্রেপ্তার করেছেন এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন যে—আপনারা লেখালেখি করবেন না। সামনে আবার ক্ষমতায় যাবেন। এই কৌশল আর বিএনপির কাছে টিকবে না। বিএনপির জাতীয়তাবাদী শক্তি ও তারেক রহমানের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।’
ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা মুক্তি কার কাছে চাইব? মুক্তি আর চাইতে চাই না, মুক্তির দাবি আর করতে চাই না। এই ভোট চোর, কবর থেকে উঠে আসা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বড় বড় কথা বলেন, যারা টাকা লুট করে কানাডায় বেগম পাড়া করেন, যারা টাকা লুট করে দুবাই, ব্যাংককে বাড়ি করে তাদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, মুছাব্বিরের মুক্তি, রিজভীর মুক্তি আমি দাবি করতে চাই না।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ করে ফারুক বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে যেসব সাংবাদিক দেশের স্বার্থে লেখালেখি করছেন, আপনারা বাধা দিচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জীবন দেব, জেলে যাব, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। পুলিশের জোর দেখাচ্ছেন কতিপয় পুলিশ দ্বারা, সব পুলিশ নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আটকে রাখবেন, আর পারবেন না। ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে, ১৭ হাজার প্রাণ দেব, তবুও আপনার অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।’
ফারুক বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যতই কৌশল করেন, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যতই চিঠি দেন। বিশ্বাস করেছিলাম ২০১৮ সালে, গণভবনে আন্তরিকতার সঙ্গে আমার দল গিয়েছিল, সেদিন আপনারা আমাদের সঙ্গে মুনাফিকি করেছেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছেন।…সেদিন আর নেই। তারেক রহমানের কৌশলের কাছে ইনশা আল্লাহ আপনারা পরাজিত হবেন।’
ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানউল হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ।