তরুণেরা দেশের শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ : কৃষিমন্ত্রী
উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ রোববার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) তৃতীয় সমাবর্তনে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘তরুণেরা দেশের শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ।’
রাষ্ট্রপতি এবং মাভাবিপ্রবির চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন সিআরপি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ভেলেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই ব্যবস্থা পাকিস্তানি শাসকেরা করে গিয়েছিল।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনসহ শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান সরকার। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপক হারে ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি—শিক্ষাখাতে এই বিশাল বিনিয়োগ দেশকে কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।’
শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশ যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তরুণেরা দেশের শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায়, প্রায়োগিক ও সময়োপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’