তাপস-খোকনের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিএনপি ইস্যু খুঁজছে : এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের মতপার্থক্য সময়ের ব্যবধানে নিরসন হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। দুই মেয়রের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিএনপি ইস্যু খুঁজছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তাজুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব পালনকালে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। সময়ের ব্যবধানে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মামলা হোক চাননি বলে জানতে পেরেছি এবং মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।’
দুই মেয়রের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরে উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সব কিছুতেই ইস্যু খোঁজে। বিএনপির অযৌক্তিক কোনো ইস্যু অথবা নেতিবাচক মন্তব্য দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি বৃহৎ দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে নেতৃত্বে দিচ্ছেন। দুই মেয়রের মধ্যে মতপার্থক্যে দলের মধ্যে কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না।
ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর এগুলোকে সংস্কার করে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি মিটিং করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। দুই সিটি করপোরেশনের কী পরিকল্পনা করছে তা জেনে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কর্ম পরিকল্পনা করা আছে, সেটিও দুই মেয়রকে অবহিত করা হবে।
রাজধানীতে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ইদানীং কিছু কিছু এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সিটি করপোরেশনসহ ডেঙ্গু বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভা আগামী সপ্তাহে ডাকা হয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
তুরাগপাড়ে নতুন শহর নির্মাণ প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, তুরাগে যে শহর গড়ে তোলা হবে সেখানে ৬০ শতাংশের বেশি ওয়াটার বডি থাকবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। তুরাগে এই নগরী নির্মিত হলে সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর একটি নগরী হবে।
আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য নিপন বিশ্বাস শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।