তালাবদ্ধ ঘর থেকে পোশাককর্মীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো এক পোশাককর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে (৪১) আজ সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরে ওই পোশাককর্মীকে খুন করা হয়েছে।
নিহতের নাম মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা থানাধীন নথপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। মমতাজের স্বামীর বাড়ি রফিকুল নেত্রকোনা সদরের রৌহা এলাকায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু খান জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে রফিকুল ও মিতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুবছর আগে তাঁরা বিয়েও করেন। তবে বিয়ের কিছু দিন পর থেকে দাম্পত্য কলহের কারণে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন।
মিতা বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি জীম অ্যান্ড জেসি গার্মেন্টস কারখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওসি মালেক জানান, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশিদের কাছে তথ্য পেয়ে ওই ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
ওসি জানান, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে আজ সোমবার নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রফিকুল দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মিতাকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলাটিপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। হত্যার পর নিহতের মরদেহ ফেলে দরজায় তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।