তালা ভেঙে ঝলসে যাওয়া মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
নাটোরে এগারো বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে নির্যাতন ও শরীর ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসা প্রধান ও তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাদাদ জানান, সদর উপজেলার চর লক্ষ্মীকোল গ্রামের ইমরান ইসলামের শিশুকন্যা ইয়াসমিনকে হাফেজি পড়ার জন্য পাশের উলুপুর এলাকার তালেমুন নিছা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। মাদ্রাসা প্রধান সোহরাব ও তাঁর স্ত্রী সালমা বেগম ইয়াসমিনসহ অন্য শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করাতেন এবং কথায় কথায় শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিশু ইয়াসমিন ভাত রান্না করে পাতিল তুলতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে মাদ্রাসাপ্রধানের স্ত্রী সালমা বেগম রাগে ওই ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে গরম ভাত ও ভাতের মারের উপর ফেলে দেয়। এতে ইয়াসমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। ওই অবস্থায় কাউকে না জানিয়ে তাকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে দেয়। এতে তাঁর ঝলসিত অংশে পচন ধরতে শুরু করে। খবর পেয়ে গতকাল বুধবার ইয়াসমিনের বাবা ও স্বজনরা মাদ্রাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আজ মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ইমরান। পরে পুলিশ মাদ্রাসাপ্রধান, তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।