তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম : প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) প্রকাশিত তালিকা থেকে রাজাকারসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরে সদর উপজেলা কমান্ড কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভূপাল নন্দী।
সংবাদ সম্মেলনে ভূপাল নন্দী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় উল্লেখিত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের মো. রফিক, পাড়া পরমানন্দ গ্রামের মো. মহরম আলী মোল্লা, জালুয়াপাড়ার মো. আজিম উদ্দিন ও নীলগঞ্জ গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদ চিহ্নিত রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণক্ষেত্রে এই রাজাকারদের আটক করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। যাচাই বাছাইয়ের সময় উপযুক্ত প্রমাণসহ এ চারজনের বিষয়ে জামুকা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হলেও তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
ভূপাল নন্দী আরও বলেন, এতে সব মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকাসহ বিভিন্ন অফিসে বারবার প্রমাণাদিসহ লিখিত অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা নেতারা বলেন, অবিলম্বে রাজাকারসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করা না হলে ভবিষ্যতে আরও কর্মসূচি পালন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার এ বি সিদ্দিক বলেন, জামুকার প্রতি এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো আস্থা নেই।
জামুকাকে তিনি ‘জাল মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে এটিকে বিলুপ্ত করার দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনেরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার যথাক্রমে মো. আজিম উদ্দিন, আব্দুল হাই, নূরুল হক ও জয়নাল আবেদীনসহ প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা।