তাসনিম খলিল, সামিরসহ চারজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলজাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামিসহ চারজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার বিচারক তাসনিম খলিলসহ চারজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, আসামিরা হলেন- নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। এ ছাড়া বিচারক আগামী ৮ নভেম্বর ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় দাখিল করেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ সিপিসি-১-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন মর্মে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর গ্রেপ্তার হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল আলম ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মোস্তাক কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৫ মে মোস্তাক কাশিমপুর কারাগারে মারা যায়।
আসামিদের মধ্যে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল বাতেন খানের ছেলে।