তিন দিনেও বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ পায়নি পরিবার
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক শাহাবুল হোসেন বাবু নিহত হওয়ার তিন দিন পরেও মরদেহ পায়নি তার পরিবার। গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে হিলি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে ধরন্দা এলাকার ২৮৫/২৫নং সাব-সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভুলবশত ভারতের কুন্ডুপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়েছিলেন বাবু। এ সময় বিএসএফ বাবুকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাবু। ঘটনার তিন দিন হতে চললেও বাবুর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিএসএফ।
নিহতের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে—এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যোগাযোগ করেছি। ছেলের মরদেহ ফেরত এনে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু, বিজিবি কোনো প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। ছেলের মরদেহ এখন ভারতে পড়ে আছে।’ বাবুর মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
নিহতের স্ত্রী বাবলী আক্তার বলেন, ‘বাবু শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের খাবার কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা জানায়—আমার স্বামীকে বিএসএফ হত্যা করেছে।’
এদিকে, জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’