তিন মাসের মধ্যে আসবে রাশিয়ার ৪০ লাখ টিকা
আগামী মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে দেশে রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকা আসবে। রাশিয়া থেকে এই টিকা আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালোভাবেই যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তিনি এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ার ৪০ লাখ টিকা দেশে চলে আসবে। এই টিকা পাওয়ার পরের ধাপে আরও বেশি টিকা পাব আমরা।’
ঔষধ প্রশাসনের ডিজি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু স্পুটনিক-ভি নিয়ে কাজ করছি ব্যাপারটি এমন নয়। এটা ছাড়াও চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েও কাজ করছি। আজ রাশিয়ার তৈরি টিকার ব্যবহার ও উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হল। এই অনুমোদন দিতে গিয়ে পলিসি পরিবর্তন করতে হয়েছে। এ পলিসি পরিবর্তন করার ফলে এখন আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই যেকোনো দেশের টিকা আনতে পারব। যদি সেই টিকা ব্যবহার উপযোগী হয়। ফলে আমাদের প্রয়োজনে আমরা সব উৎস থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে, ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দেশে টিকা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
আজ দুপুরে মাহবুবুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও রাশিয়ার এই টিকার অনুমোদন দেয়নি। সুতরাং আমাদের দেশের ব্যবহার ও উৎপাদনে একটি সমস্যা ছিল। কারণ, এতদিনে আমাদের পলিসি ছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন না দিলে আমরাও তা গ্রহণ করতে পারব না। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করে আমরা পলিসি পরিবর্তন করেছি। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বিষয়ে।’