তিন সন্তান রেখে ৬০ বছরের ফকিরের সঙ্গে পালালেন গৃহবধূ, মামলা
ময়মনসিংহের তারাকান্দা থেকে ভক্তের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ফকির ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহকে (৬০) আজও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার করা যায়নি গৃহবধূকেও। এদিকে নিজের স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় থানায় মামলার পাশাপাশি স্ত্রী ও ফকিরকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাইলাটি গ্রামে।
তারাকান্দা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দেড় মাস আগে তারাকান্দার টিকুরি গ্রামের সফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবিয়া খাতুনের সাথে পরিচয় ঘটে ফকির ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহর। খেতা শাহকে আধ্যাত্মিক মানুষ ভেবে পরিচয়ের পর থেকেই তাঁকে মামা বলে ডাকতেন স্বামী-স্ত্রী। থাকতে দিয়েছিলেন নিজের বাড়িতেই। এসময় প্রতিবেশিদের নানা কথা-বার্তাকেও পাত্তা দিতেন না স্বামী-স্ত্রী। ২২ জুন সকালে রাবিয়া খাতুন (৩৩) কথিত মামা খেতা শাহকে নিয়ে গোয়াতলা গ্রামে বাবার বাড়ি যান। রাবিয়ার স্বামী দুপুরে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে কথিত মামা ও তাঁর স্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এসময় রাবিয়া খেতা শাহকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে বাবার বাড়ি ত্যাগ করেন। কিন্তু রাবিয়া ও খেতা শাহ সফিকুলের বাড়ি ফিরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিজের স্ত্রী ও খেতা শাহকে না পেয়ে ২ জুলাই রাতে খেতা শাহর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন সফিকুল। কিন্তু পুলিশ এখনও খেতা শাহ ও রাবিয়াকে উদ্ধার বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পেশায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে যাচ্ছি। কিন্তু সফল হইনি। আমার তিনটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। মেজ মেয়ে তৃতীয় শ্রেণি আর ছোট মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সফিকুল আরও বলেন, বিশ্বাস করে খেতা শাহকে আমার বাড়িতে থাকার জন্য জায়গা দিয়েছিলাম। সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমার স্ত্রী ও ঘরে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তিন সন্তান নিয়ে আমি এখন বিপদে আছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবদুল মালেক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অপহরণের মামলার পর খেতা শাহকে গ্রেপ্তার ও রাবিয়াকে উদ্ধারে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। খুব শিগগিরই পজেটিভ খবর দিতে পারব।