তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন আন্তরিক : চীনা রাষ্ট্রদূত
রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রকৌশলীদের সাথে আজ সোমবার দুপুরে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হয় চীনা রাষ্ট্রদূতের। আজ দুপুর ২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত চলে এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চীনা রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিং বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে যে জরিপ হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি সরেজমিনে এসেছি। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের সরকার আন্তরিক।
জিমিং আরও বলেন, তিস্তা নদীর নাব্য ধরে রাখা, রিজার্ভার, দুই পাড়ে স্থায়ী শক্ত বাঁধ নির্মাণসহ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে দুই দেশ। ইতোপূর্বে সম্পন্নকৃত ডিপিপির বিভিন্ন দিক যাচাই-বাছাই ও কোনো কিছু সংযোজন আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে, টেকনিক্যাল কমিটির এই বৈঠক করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আমিরুল হক ভূঞা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বৈঠকে চীনা প্রকৌশলীরাও ছিলেন। এটি একটি কারিগরি এক্সপার্ট বৈঠক। মহাপরিকল্পনার জন্য চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে যে খসড়া জরিপ বা ডিপিপি সাবমিট করেছে, তার বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরা হয়েছে আজকের বৈঠকে। দুই দেশের সরকার এ ডিপিপি চূড়ান্ত করলে, খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা।
চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল থেকে রংপুর অঞ্চলে অবস্থান করছেন। তিনি গতকাল লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা ব্যারাজ, নীলফামারী ও রংপুরের বিভিন্ন স্থানে তিস্তা নদীর দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলন’ এর আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূতসহ ওই দেশের প্রকৌশলীদের তিস্তা নদী পরিদর্শনের ঘটনায় নদীর দুই পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের কান্না বন্ধ, ভয়াবহ নদী ভাঙন থেকে তাদের সম্পদ রক্ষায় বর্তমান সরকার চীনের সাথে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে। এতে রংপুর অঞ্চলের মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।