তীব্র গরমে নাকাল চুয়াডাঙ্গা, সতর্কতামূলক মাইকিং
চুয়াডাঙ্গায় টানা দুই সপ্তাহ ধরে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অতি দাবদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার মানুষ। কাঠফাটা রোদে দুঃসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাতেও মিলছে না শান্তি। এমন অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। বাসায় রাখতে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইলন। সন্ধ্যার আগে রোজাদারদের বাইরে বের না হতে দেওয়া হয়েছে পরামর্শ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ ভাগ, গত ২ এপ্রিল থেকে টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে এ জেলায়।
আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন চুয়াডাঙ্গায়। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও নারী সবাইকে বাসায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হতে বলা হচ্ছে। বাসায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ওরস্যালাইন রাখতে বলা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। হিটস্ট্রোক, পানি শূন্যতা ও ডায়রিয়া থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আগামীকাল রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় আমরা তাপদাহ ও অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জরুরি মিটিং ডেকেছি। সেখানে করণীয় ঠিক করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিকেল ৩টায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একটানা তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছে। রমজান মাসের মধ্যে প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে মানুষের কষ্ট অনেক অংশে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি সমস্যায় রয়েছে।’