তীব্র গ্যাস সংকট : আশুলিয়ার একাধিক শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধের উপক্রম
তীব্র গ্যাস সংকটে আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল শিল্পকারখানার উৎপাদন বন্ধের উপক্রম হয়েছে। উৎপাদন অনেক কমে যাওয়ায় শ্রমিকদের সময়মতো বেতন পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানায়।
গ্যাস সংকটে পাথালিয়ার টাকশুর এলাকার নবীনগর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ডাইং অ্যান্ড নিটিং কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় তিন মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। এমন অবস্থায় কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে মালিকপক্ষ।
নবীনগর টেক্সটাইল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মানুন অর রশিদ জানান, কয়েক মাস ধরে তাঁদের কারখানায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারখানায় কোনো গ্যাস থাকে না, যার ফলে বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ থাকে। গ্যাস সমস্যার কারণে পণ্যের মানে সমস্যা হয়। কাপড় আবার প্রসেস করতে হয়। ফলে কাপড় সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে কাপড় সময়মতো শিপমেন্ট দিতে না পারায় সংকটে পড়েছেন তাঁরা।
এদিকে, তিন মাস ধরে বেতন দিতে না পারায় চাকরি ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। যে কারণে দক্ষ শ্রমিকের সংকটও তৈরি হয়েছে ওই কারখানায়।
এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক থেকে শুরু করে শিল্প-মালিক সবাই নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
শিল্প মালিকদের অভিযোগ, সমাধান চেয়ে তিতাস গ্যাস দপ্তরে বারবার ধরনা দিলেও কোনো সমাধান মিলছে না।
এ বিষয়ে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম জানান, সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে।
একাধিক শিল্প উদ্যোক্তা জানান, গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপের অভাবে কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ১৪ থেকে ২৫ শতাংশ কার্যক্রম চলছে। এবং বেশির ভাগ শ্রমিককে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছেন অনেক শিল্প উদ্যোক্তা।